শুক্রবার, ২৩ মার্চ, ২০১৮

Democracy under Pressure: Polarization and Repression Are Increasing Worldwide

22.03.2018, BTI 2018

Democracy under Pressure: Polarization and Repression Are Increasing Worldwide

Restrictions on free speech, unfair elections and populist hunger for power – it is by no means just autocrats who have been tightening the screw of repression. Governments in democracies have also increasingly been trying to govern with a hard hand. And social division is deeper than it has been for a long time. Our current Transformation Index BTI shows what is behind this development, and which countries have been particularly affected.
The quality of democracy, market economy and governance has fallen to its lowest level in twelve years on a worldwide average. This is the key finding of our latest Transformation Index BTI. Since 2006, it has regularly analyzed political and economic developments in 129 developing and transformation countries. Conclusion: 40 governments, including some of more advanced democracies, have curtailed the rule of law over the past two years, and 50 countries have seen restrictions on political freedoms. The rulers of many countries have addressed the global economic challenges only insufficiently and frequently on the backs of the poor and marginalized. Many governments are unable to respond adequately to the growing social, ethnic and religious conflicts – or oftentimes even foment these tensions.
From our point of view, a major reason for the poor results is that many governments are not capable or inclined to react to social conflicts by engaging in dialog and seeking a consensus. Governments' willingness to defuse conflicts has decreased in 58 countries since 2006, according to the index. Once elected, many rulers curtail political liberties and rights in order to expand their political power. This is particularly the case with authoritarian populists like those in Hungary or Turkey, even though they have come to power via grassroots movements and polarization themselves. Our chairman and CEO Aart De Geus comments on the research findings:
"Many rulers try to cement their claim to leadership through repressive measures. However, in the long run, ruling by coercion and not by dialog always leads to a dead end."
Aart De Geus, chairman and CEO of the Bertelsmann Stiftung

More inequality, less freedom

The authors view unsatisfactory socio-economic development to be one of the greatest impediments to development towards democracy and economic sustainability. According to the study, there is massive poverty and a high level of social inequality in 72 developing and transformation countries. In 22 of them, including India, South Africa and Venezuela, there has even been a decline in the level of socio-economic development in the last ten years. During the same time period, the proportion of countries achieving a moderate to good level of social inclusion sank from a third to a quarter.
More and more people are living not only in less equal, but also in more repressive environments. At the present time, 3.3 billion people are governed autocratically (4.2 billion democratically), which is the highest number since the study began. Of the 129 countries studied, the BTI classifies 58 as autocracies (2016: 55) and 71 as democracies (2016: 74). But it is not so much the slight increase in the number of autocracies that is worrying. More problematic is the fact that civil rights are being curtailed and the rule of law undermined in an increasing number of democracies as well. Former beacons of democratization such as Brazil, Poland and Turkey are among the countries that have fallen the most in the Transformation Index.
Only Burkina Faso and Sri Lanka were making significant progress towards democracy during the period under review. By contrast, there are a total of 13 countries, including Mozambique, Turkey and Yemen, where the political situation has become significantly worse. Five of these 13 countries no longer meet minimum standards for democracy: Bangladesh, Lebanon, Mozambique, Nicaragua and Uganda, where democracy has been gradually undermined for years, are under autocratic rule. It was often shortcomings in the quality of elections that tipped the balance. 

Democracies govern better than autocracies

These developments are worrying for citizens because corruption, social exclusion and barriers to fair economic competition continue to be more prevalent in autocracies. According to the BTI, while 12 democracies have combated corruption successfully, only one autocracy did so. Only two autocracies, but eleven democracies have achieved sufficient equal opportunity. 27 democracies, but only two autocracies exhibit well-functioning market and competitive systems. "The BTI clearly shows that anti-democratic systems are by no means more stable and efficient than democratic ones," says Aart De Geus.
It is true that China, whose share of the global economy has increased the most in the last ten years, is considered by many to be a prime example of prosperity in a state of absence of freedom.  However, those who attribute China's economic success solely to its political system fail to recognize the predominantly poor economic results of autocracies as a whole – and the dangers of a cult of personality. This can be seen clearly by looking at other autocratic systems such as Russia, Thailand and Venezuela. Here, according to the BTI experts, both economic as well as democratic development have been stagnating for years.
The infographic shows the main results of BTI 2018 at a glance.The main results of BTI 2018 at a glance. You can download this infographic in higher resolution on the right (if you are on a mobile device: below).

শুক্রবার, ১৬ মার্চ, ২০১৮

নির্বাচনে বিজয় আনুষ্ঠানিকতা মাত্র: কাদের

ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, শেখ হাসিনার উন্নয়নে-অর্জনে জনগণ খুশি, নির্বাচনে বিজয় একটা আনুষ্ঠানিকতা মাত্র। আজ শুক্রবার সকালে ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে দলের ত্রাণ উপকমিটির রিকশা-ভ্যান বিতরণ অনুষ্ঠানে ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নে-অর্জনে জনগণ খুশি, কাজেই আগামী নির্বাচন নিয়ে আমাদের কোনো প্রকার সংকোচ, কোনো প্রকার ভয় নেই।’ তিনি বলেন, ‘কারণ উন্নয়ন-অর্জন করে আমাদের কর্ম দিয়ে আমরা ভয়কে জয় করে ফেলেছি। নির্বাচনে বিজয় একটা আনুষ্ঠানিকতা মাত্র।’আওয়ামী লীগ ও সরকারের বিরুদ্ধে বিএনপি কথা বললেও তা নিয়ে আওয়ামী লীগের কোনো মাথাব্যথা নেই বলে জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বিএনপি এত চেষ্টা করেছে একটা আন্দোলন করার জন্য, মানুষ কিন্তু সাড়া দেয়নি। তার কারণ হচ্ছে, এ দেশের জনগণ বিএনপির নেতিবাচক রাজনীতিকে পছন্দ করে না। প্রত্যাখ্যান করেছে। সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা জানি, আমরা বিশ্বাস করি, এ দেশের জনগণ বিএনপি নামক বিষফোড়ার দলটিকে প্রত্যাখ্যান করেছে। বিএনপির আন্দোলনের ডাকে জনগণ সাড়া দিচ্ছে না, কাজেই বিএনপির কোন নেতা কী বলল, সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করল, এ নিয়ে আমাদের কোনো মাথাব্যথা নেই। আমাদের মাথাব্যথা, কীভাবে আমাদের চলমান উন্নয়নের কাজগুলো সমাপ্ত করব।’ তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ মানুষের মন জয় করার চেষ্টা করছে। আর বিএনপি নির্বাচন ভন্ডুল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নির্বাচনে জনগণের আস্থা অর্জনের জন্য আমরা তরুণ ভোটার, মহিলা ভোটারদের মন জয় করার জন্য বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করছি। বিএনপি এখন ষড়যন্ত্রের পথে এগোচ্ছে। দেশি-বিদেশি নানা মহলের সঙ্গে ওঠবস করছে, কীভাবে দেশে একটা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে নির্বাচনকে ভন্ডুল করা যায়, এ ব্যাপারে গোপন বৈঠক করছে।আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, তবে এবার আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির সেই দিন আর ফিরে আসবে না। পেট্রলবোমার রাজনীতি এই দেশের মানুষ চায় না। যারা বোমা মেরে মানুষ হত্যা করে, এই দেশের মানুষ তাদের কোনো দিন গ্রহণ করবে না।
বিএনপির হাজার হাজার নেতা-কর্মী আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়ার অপেক্ষায়, জানিয়ে কাদের বলেন, বিএনপির রাজনীতি এখন তাদের নিজেদের মধ্যে, তাদের গোড়া সমর্থকদের মধ্যে। সাধারণ মানুষ তাদের চায় না। এমনকি আগে যারা বিএনপি সমর্থন করত, কর্মী-সমর্থকেরাও আজকে বিএনপি ছেড়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমরা এখনো সম্মতি দিচ্ছি না। সারা বাংলায় আমাদের নেতারা, জনপ্রতিনিধিরা জানাচ্ছেন যে, ওমুক জায়গায় বিএনপির নেতা-কর্মীরা যোগ দিতে চায়। আজকে বিএনপির হাজার হাজার কর্মী আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়ার অপেক্ষায় আছে। নেত্রীর কাছে থেকে আমরা গ্রিন সিগন্যাল পাইনি, সে কারণে আমরা সেই যোগদানে এখনো সম্মত হতে পারছি না। বিএনপির জোয়ারের দিন শেষ, এখন ভাটার টান।’

নায়ককে কষিয়ে চড় রাধিকার

রাধিকা আপ্তেরাধিকা আপ্তেঅভিনেত্রী রাধিকা আপ্তে মানেই সব সময় আলোচনা-সমালোচনা। কিছুদিন আগে ছোট পোশাকে সমুদ্র সৈকতে হেঁটে সবার নজরে পড়েন। হরহামেশাই আলোচনায় থাকা বলিউডের এ অভিনেত্রী শুটিং সেটে নায়ককে কষিয়ে চড় মেরেছিলেন। সম্প্রতি আরেক বলিউড অভিনেত্রী নেহা ধুপিয়ার এক টকশো’তে এমনটাই জানালেন তিনি। কারণ তার শরীরের হাত দিয়েছিলেন ওই অভিনেতা।
এনডিটিভির খবরে বলা হয়, ক্যারিয়ারের শুরুতে ‘প্যাডম্যান’ তারকা রাধিকা আপ্তে একটি তামিল সিনেমায় অভিনয় করতে গিয়ে সহ অভিনেতার কাছ অশ্লীল ব্যবহার পেয়েছেন। শুটিংয়ের শুরুর সময় ওই নামী অভিনেতা নাকি আচমকাই তাঁর ঘনিষ্ঠ হতে চাচ্ছিলেন। ওই সময় বিনা অনুমতিতে ওই অভিনেতা রাধিকার পায়ের পাতা স্পর্শ করতে শুরু করেন। রাধিকার অভিযোগ, অনুমতি ছাড়াই ওই অভিনেতা বারবার তাঁকে স্পর্শ করতে শুরু করেন। উপায় না দেখে উপস্থিত সবার সমানে ওই জনপ্রিয় অভিনেতাকে কষিয়ে চড় মারেন ‘অন্তহীন’ ও ‘অহল্যা’ তারকা রাধিকা। এ কাণ্ডে থতমত হয়ে যান সেই দক্ষিণী অভিনেতা। শুটিংয়ের প্রথম দিনই এমন ঘটনার সম্মুখীন হতে হয়েছিল বলে সম্প্রতি একটি টক শো মন্তব্য করেন রাধিকা আপ্তে।
ওই টক শোয়ে রাধিকার সঙ্গে ছিলেন অভিনেতা রাজকুমার রাও। সেখানে রাধিকা বলেন, ‘সেদিনই ছিল একটি সিনেমার প্রথম দিনের শুটিং। বিখ্যাত দক্ষিণী অভিনেতা আমার পায়ে সুড়সুড়ি দিতে শুরু করে। আমি তাকে আগে চিনতামও না। হঠাৎ তার এ রকম আচরণে তাজ্জব বনে গিয়েছিলাম। প্রচণ্ড বিরক্ত হয়ে সপাটে চড় মেরেছি।’ এটা করে কোনো অন্যায় করেননি বলে মনে করেন তিনি।তবে দক্ষিণের ওই অভিনেতার নাম কি তা জানা যায়নি।অভদ্রতার জন্য সেদিন ওই অভিনেতাকে চড় মারায় কোনো ভুল কাজ করেননি বলে মনে করেন সাহসী এবং স্পষ্টবক্তা সিহেবে পরিচিত রাধিকা। ভবিষ্যতে অন্য কোনো নারীর সঙ্গে এমন ব্যবহার করতে গেলে ওই অভিনেতা দ্বিতীয়বার ভাবতে বাধ্য হবেন বলেও মন্তব্য করেন ‘পার্চড’ অভিনেত্রী।

বুধবার, ১৪ মার্চ, ২০১৮

‘আমি বোকাসোকা মানুষ, ভয় পাই না’

ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল।
হামলার ঘটনায় কোনো রাগ-ক্ষোভ নেই, ভয়ও পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল। নিরাপত্তা নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি। আজ বুধবার ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) থেকে সিলেটে যাওয়ার পথে এসব কথা বলেন এই শিক্ষাবিদ।সিএমএইচ থেকে সিলেটে যেতে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান জাফর ইকবাল। সেখানে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এ সময় তাঁর সঙ্গে স্ত্রী অধ্যাপক ইয়াসমীন হক ছিলেন।জাফর ইকবাল বলেন, প্রগতির দিকে এগিয়ে যাওয়ার পথে এ ধরনের হামলা কখনো বাধা হতে পারবে না। দেশকে এমনভাবে গড়ে তুলতে হবে, যেন এ ধরনের জঙ্গিশক্তি গড়ে উঠতে না পারে। কারও মানসিকতাও যেন এমনভাবে গড়ে না ওঠে।হামলার ঘটনায় ক্ষোভ আছে কি না জানত চাইলে জাফর ইকবাল বলেন, কারও প্রতি তাঁর কোনো রাগ নেই। বরং তাদের (হামলাকারী) প্রতি একধরনের দুঃখ আছে।জাফর ইকবাল বলেন, ‘এই দেশটা এত সুইট, এত কিউট, এখানে অনেক কিছু করার আছে। তারা (বিপথগামীরা) যেন সেই কাজ করে। তা না করে তারা যা করছে, তা নিয়ে তাদের ওপর আমার একধরনের দুঃখবোধ আছে।’
হামলার ঘটনার ভয় পাচ্ছেন কি না—প্রশ্ন করা হলে জাফর ইকবাল বলেন, ‘আমি বোকাসোকা মানুষ, আমার ভয়টয় নেই। প্রধানমন্ত্রী, আশপাশের মানুষ, আমার ছাত্ররা, সহকর্মীরা, আত্মীয়-পরিজনেরা আছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তো আছেই। এরপর আর অনিরাপদ বোধ করার কোনো কারণ দেখি না।’হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় লেখালেখির প্রসঙ্গ টানলে জাফর ইকবাল ডান হাত উঁচু করে দেখান। বলেন, বাঁ হাতে আঘাত পেয়েছেন। ডান হাত ঠিক আছে। তাই লিখতে পারছেন।এখন সুস্থ আছেন জানিয়ে সাংবাদিকদের জাফর ইকবাল বলেন, ‘ভালো আছি। চিকিৎসকেরা বলেছেন, রোগী হিসেবে আমি ভালো। তাঁদের সব কথা শুনেছি।’
মাথায় থাকা ক্যাপ দেখিয়ে জাফর ইকবাল বলেন, তাঁর মাথায় চারটি আঘাত আছে।তরুণ ভক্তদের উদ্দেশে জাফর ইকবাল বলেন, ‘আমাদের দেশটা খুবই ভালো। খুবই সুন্দর। খুবই সুইট। তোমরা দেশকে ভালোবাসো। দেশও তোমাদের ভালোবাসবে।’৩ মার্চ শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠান চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল হামলার শিকার হন। অনুষ্ঠানে তাঁর পেছনে থাকা ফয়জুর রহমান ওরফে ফয়জুল নামের এক যুবক ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁকে আঘাত করেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য জাফর ইকবালকে ঢাকার সিএমএইচে আনা হয়। তাঁর ওপর হামলার ঘটনায় দেশব্যাপী নিন্দার ঝড় বয়ে যায়।

হামলাকারীদের প্রতি রাগ নেই, তবে দুঃখ হয় জাফর ইকবালের

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশবিদ্যালয়ে এক উগ্রপন্থি তরুণের হামলার শিকার অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেছেন, হামলাকারীর ওপর কোনো রাগ নেই, বরং তাদের মত তরুণদের জন্য তিনি দুঃখ অনুভব করেন।
ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ১২ দিন চিকিৎসা শেষে বুধবার সিলেট ফেরার পথে বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন জনপ্রিয় এই লেখক।
“তাদের ওপর আমার কোনো রাগ নাই। আমি তাদের জন্য এক ধরনের দুঃখ অনুভব করি। এত সুন্দর পৃথিবী। সেখানে এত সুন্দর সুন্দর কাজ করা সম্ভব। তারা সেগুলো না করে এই ধরনের একটা কাজকে জীবনের উদ্দেশ্য হিসেবে নিয়েছে, সেজন্য তাদের প্রতি আমি দুঃখ অনুভব করি।”
কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের এই শিক্ষক বলেন, বাংলাদেশকে এমনভাবে গড়ে তুলতে হবে যেন তরুণরা ভুল পথে না যায়, তারা যেন সাধারণ মানুষে মত সুন্দর জীবন যাপন করতে পারে।
গত ৩ মার্চ বিকালে সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের মুক্তমঞ্চে এক অনুষ্ঠান চলাকালে ফয়জুল হাসান ওরফে শফিকুর নামের এক তরুণ ছুরি হাতে জাফর ইকবালের ওপর হামলা চালায়।র‌্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই তরুণ বলেন, জাফর ইকবাল ‘ইসলামের শত্রু’ বলে সে মনে করে, এ কারণেই তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে তিনি হামলা করেন।
রক্তাক্ত অধ্যাপক জাফর ইকবালকে প্রথমে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচার শেষে রাতেই তাকে পাঠানো হয় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে। সিলেটে ফেরার আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি জানান, এখন তিনি শারীরিকভাবে সুস্থ রয়েছেন।“আমার শারীরিক অবস্থা ভাল। আমার মাথায় চারটি আঘাত ছিল। এ কারণে ছেলেমানুষের মত টুপি পড়ে এসেছি, যাতে ওগুলো দেখা না যায়। সেগুলোর স্টিচ খুলে দেওয়া হয়েছে। ডাক্তার এখন রেস্ট করতে বলেছেন”।
তবে পিঠ ও হাতে স্টিচ এখনো খোলা হয়নি। সেগুলো ১৮ মার্চ খোলা হতে পারে বলে জানান তিনি।
ওই হামলার পর সবাই যেভাবে সহযোগিতা করেছে, চিকিৎসকরা যেভাবে যত্ন নিয়েছেন, সেজন্য সবাইকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান জাফর ইকবাল। তিনি বলেন, সবার মাঝে ফিরে আসতে পেরে তার খুব ভালো লাগবে।
“একটা কথা না বললেই না, আমি কে? আমি একটা ইউনিভার্সিটির মাস্টার, বাচ্চা কাচ্চার জন্য বই লিখি, তাই তো? কিন্তু আমাদের প্রাইম মিনিস্টার, উনি নিজে আমাকে ওখান থেকে হেলিকপ্টারে নিয়ে এসেছেন। উনি এত ব্যস্ত, তারপরও নিজে এসে আমাকে দেখে গিয়েছেন। কেউ যেন আসতে না পারে, আমার যেন ইনফেকশন না হয়, সেজন্য নিজে থেকে উনি সেটা বলে গিয়েছেন।“আমি কী বলব! আমি উনাকে কৃতজ্ঞতা জানাই, আমি ডাক্তারদের কৃতজ্ঞতা জানাই, আমি দেশের মানুষকে কৃতজ্ঞতা জানাই।”
এই শিক্ষক জানান, যে মুক্তমঞ্চে তার ওপর হামলা হয়েছিল, সিলিটের ক্যাম্পাসে ফিরে সেই মুক্তমঞ্চেই তিনি ছাত্রছাত্রীদের সামনে আসবেন।“আমি ব্যক্তিগতভাবে কখনো ভয় পাইনি, এখনো পাচ্ছি না। ইউনিভার্সিটিতে হাজার হাজার ছেলেমেয়ে আছে। আমি মুক্তমঞ্চে সেই যায়গায় দাঁড়িয়ে ছেলেমেয়েদের সঙ্গে আবার কথা বলব।”জাফর ইকবাল জানান, ওই হামলার কারণে তিনি ভীত নন। ওই ঘটনায় দেশে প্রগতিশীলতার ওপর আঘাত এসেছে বলেও তিনি মনে করেন না।নতুন প্রজন্মের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আমাদের দেশটা খুব সুন্দর, খুব সুইট। তোমরা দেশকে ভালবাসো, দেশও তোমাদের ভালবাসবে”।

জাফর ইকবাল ঢাকা ফিরবেন বৃহস্পতিবার
সিলেট প্রতিনিধি জানান, প্রিয় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা করে বৃহস্পতিবার জাফর ইকবাল আবার ঢাকা ফিরবেন বলে তার স্ত্রী অধ্যাপক ইয়াসমিন হক জানিয়েছেন। বুধবার দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিটে জাফর ইকবাল ও ইয়াসমিন হক সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরে পৌঁছেন।বিমানবন্দরে নেমে তারা দুজনই সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। দেশের প্রচলিত আইনে হামলাকারীর বিচার হবে জানিয়ে এ ব্যাপারে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। জাফর ইকবাল জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে যেখানে তার উপর হামলা হয়েছিল বুধবার বিকাল ৪টায় সেখানে তিনি বক্তব্য রাখবেন। তিনি প্রিয় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা করতে সিলেট এসেছেন। এ সময় ইয়াসমিন হক বলেন, “তাকে একমাস বেড রেস্টে থাকতে বলেছেন ডাক্তাররা। তবে এক সপ্তাহ থাকতে হবে পুরো বেড রেস্টে। তিনি সিলেট এসেছেন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা করতে। আগামী কালই আবার ঢাকা ফিরে যাবেন।”

চতুর্থ মাত্রায় ভ্রমণ:: স্টিফেন হকিং

জগদ্বিখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং আজ বুধবার মারা গেছেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। ব্ল্যাকহোল বা কৃষ্ণগহ্বর ও আপেক্ষিকতা নিয়ে গবেষণার জন্য বিখ্যাত ছিলেন ব্রিটিশ এই পদার্থবিদ। বাংলায় ভাষান্তর করা তাঁর একটি লেখা মাসিক বিজ্ঞানচিন্তার ফেব্রুয়ারি ২০১৮ সংখ্যায় প্রকাশিত হয়। লেখাটি প্রথম আলোর পাঠকদের জন্য দেওয়া হলো:
স্টিফেন হকিংস্টিফেন হকিংবিজ্ঞানে একসময় সময় ভ্রমণ নিয়ে চিন্তার চর্চা ছিল না। আমিও এ নিয়ে কথাবার্তা বলতাম না খুব একটা। পাছে না আবার পাগলের খেতাব পাই। কিন্তু এখন আর সে ভয় নেই। এখন একটা টাইম মেশিন পেলে আমি দেখে আসব সেই মুহূর্তটি, যখন গ্যালিলিও আকাশের দিকে তাক করেছিলেন তাঁর টেলিস্কোপখানা। কিংবা চলে যাব মহাবিশ্বের শেষ প্রান্তেও। দেখে আসব, কীভাবে ইতি ঘটবে এ মহাবিশ্বের।
সময় ভ্রমণ কী করে সম্ভব সেটা বুঝতে হলে পদার্থবিদের মতো করে চিন্তা করতে হবে। হ্যাঁ, বলছি চতুর্থ মাত্রার কথা। বিষয়টাকে একটু কঠিন মনে হলেও আসলে তা নয়। একটি ছোট বাচ্চাও জানে, প্রতিটি বস্তুই ত্রিমাত্রিক স্থানে অবস্থান করে। এই যে আমিও। সবকিছুরই আছে দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও উচ্চতা। দৈর্ঘ্য আছে আরেক ধরনেরও। একজন মানুষ হয়তো ৮০ বছর বাঁচতে পারেন। আবার স্টোনহেঞ্জের পাথরগুলো দাঁড়িয়ে আছে হাজার হাজার বছর ধরে। আমাদের সৌরজগত্ থাকবে আরও কয়েক শ কোটি বছর। ফলে সবকিছুর দৈর্ঘ্য স্থানের দিকে যেমন আছে, তেমনি আছে সময়ের দিকেও। তাই সময় ভ্রমণের মানে হলো, এই চতুর্থ মাত্রা দিয়ে চলাচল।
ধরুন, আপনি একটি রাস্তা ধরে সোজাসুজি চলছেন। এটা হলো একমাত্রিক চলাচল। ডানে বা বাঁয়ে ঘুরলে সঙ্গে আরেকটি মাত্রা যোগ হবে। পথটা পাহাড়ি হলে একটু ওপরে উঠলে বা নিচে নামলেই যোগ হবে আরও একটি মাত্রা। কিন্তু সময়-মাত্রাটি ব্যবহার করে কীভাবে সামনে-পেছনে আসা যায়? চলচ্চিত্রে অনেক সময় টাইম মেশিন দেখানো হয়, যেটায় চেপে বসলেই সময়-সুড়ঙ্গ পার হয়ে চলে যাওয়া যায় অতীত বা ভবিষ্যতে। বুদ্ধিটা একেবারে খারাপ না। সময়-সুড়ঙ্গের কথাও ভাবছেন বিজ্ঞানীরাও। নাম ওয়ার্মহোল। আমাদের আশপাশেই রয়েছে বহু ওয়ার্মহোল। কিন্তু অনেক অনেক ক্ষুদ্র। এত ক্ষুদ্র যে খালি চোখে দেখার প্রশ্নই ওঠে না।
জগতের কোনো কিছুই একদম মসৃণ নয়। সবচেয়ে মসৃণ বস্তুতেও কিছু ভাঁজ বা কুঞ্চন থাকেই। একই কথা খাটে সময়ের জন্যও। অণু ও পরমাণুর চেয়েও ক্ষুদ্র মাপকাঠিতে কোয়ান্টাম ফোম নামে একটি জায়গা আছে। ওয়ার্মহোলের অস্তিত্ব এখানেই। এই কোয়ান্টাম জগতে স্থানকালের মধ্য দিয়ে অবিরত তৈরি ও ধ্বংস হয় সুড়ঙ্গ। এরা যুক্ত করে দুটি আলাদা স্থান ও সময়কে। কিন্তু সমস্যা হলো, এই সুড়ঙ্গ ১ সেন্টিমিটারের ১ লক্ষ কোটি কোটি কোটি কোটি ভাগের এক ভাগ পরিমাণ চওড়া। তাহলে পার হওয়ার উপায়? কিছু কিছু বিজ্ঞানীর বিশ্বাস, কোনোভাবে একটি ওয়ার্মহোলকে পাকড়াও করে হয়তো মানুষের পারাপারের মতো বড় করে তোলা যাবে। হয়তো তার এক মুখ থাকবে পৃথিবীতে, আরেক মুখ বহু বহু দূরের কোনো গ্রহে বা দূরের কোনো অতীত বা ভবিষ্যতে।
কিন্তু সময় ভ্রমণের একটি সমস্যা হলো কিছু প্যারাডক্স বা স্ববিরোধিতা। এদের মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাতটির নাম গ্র্যান্ডফাদার প্যারাডক্স। এটাকে একটু সরল করে অন্যভাবে বলি। নাম দিলাম ম্যাড সায়েন্টিস্ট প্যারাডক্স। মনে করুন আমি একটি সময়-সুড়ঙ্গ বানালাম, যা মাত্র এক মিনিট লম্বা। এটায় চোখ রেখে পাগল বিজ্ঞানী নিজের এক মিনিট আগের চেহারা দেখছেন। কিন্তু তিনি যদি সুড়ঙ্গের ওপারের চেহারায় গুলি করেন তাহলে কী হবে? তিনি তাহলে এক মিনিট আগে মারা গেলেন? তাহলে গুলিটা কে করল?
এ ধরনের টাইম মেশিন মহাবিশ্বের মৌলিক একটি নীতির বিরুদ্ধে যায়। ফলাফলের আগে কারণ ঘটে। কখনোই উল্টোটা নয়। তা না হলে মহাবিশ্ব হতো বিশৃঙ্খল। ফলে আমার বিশ্বাস, কোনো না কোনোভাবে বিজ্ঞানী নিজেকে গুলি করতে ব্যর্থ হবেনই। তা ছাড়া ওয়ার্মহোল বেশিক্ষণ টিকেও থাকতে পারবে বলে মনে হয় না। ধরুন, একটি স্পিকার দিয়ে গান বাজছে। তার দিয়ে মাইক যুক্ত করে শব্দ বাড়ানো হলো। মাইকের সামনেই যদি স্পিকার রাখা হয় তাহলে কী হবে? প্রতিবার ঘুরে এসে শব্দ ক্রমশ বাড়তে থাকবে। কেউ না থামিয়ে দিলে একসময় পুরো সাউন্ড সিস্টেম ভেঙে পড়বে। একই ঘটনা ঘটবে ওয়ার্মহোলের ক্ষেত্রেও। তবে এখানে শব্দের বদলে কাজ করবে বিকিরণ। ওয়ার্মহোলের মুখ খুলতে না-খুলতেই এতে বিকিরণ প্রবেশ করবে এবং লুপ আকারে ঘুরবে। একসময় এর শক্তি এত বাড়বে যে এটি ধ্বংস হয়ে যাবে। অর্থাত্ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সময়-সুড়ঙ্গগুলো দিয়ে বাস্তবে কাজ হবে না।
তবে সময় ভ্রমণ করে ভবিষ্যতে যাওয়ার আরেকটি উপায় আছে। সময় প্রবাহিত হয় নদীর মতো। অবিরত। তবে ভিন্ন ভিন্ন স্থানে প্রবাহের গতি আলাদা। ১০০ বছর আগে কথাটা প্রথম বলেছিলেন আইনস্টাইন। কথাটার প্রমাণ আছে আমাদের হাতের নাগালেই। আমরা বর্তমানে হরদম জিপিএস ব্যবহার করি। এটি কাজ করে উপগ্রহের মাধ্যমে। উপগ্রহে আছে খুব নিখুঁত ঘড়ি। কিন্তু শতভাগ নয়। পৃথিবীর ঘড়ির তুলনায় উপগ্রহের ঘড়ি প্রতিদিন এক সেকেন্ডের এক শ কোটি ভাগের এক ভাগ দ্রুত চলে। এটাকে হিসাবে না ধরলে জিপিএসের নির্দেশনা হবে ভুল। ওই ঘড়িগুলো দ্রুত চলে কারণ পৃথিবীর তুলনায় মহাশূন্যে সময়ই দ্রুত চলে। এর কারণ পৃথিবীর ভর। একটি বস্তু যত ভারী হয়, সেটি তত বেশি ধীর করে দেয় সময়কে। এর ফলেই উন্মুক্ত হয়েছে সময় ভ্রমণের আরেকটি সম্ভাবনা।
আমাদের মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির কেন্দ্রে রয়েছে গ্যালাক্সির সবচেয়ে ভারী বস্তুগুলো। রয়েছে একটি সুপারম্যাসিভ বা অতিভারী কৃষ্ণগহ্বর (ব্ল্যাকহোল)। ভর চল্লিশ লক্ষ সূর্যের সমান, যে ভর কেন্দ্রীভূত আছে একটি মাত্র বিন্দুতে। এর খুব কাছ থেকে আলোও বের হতে পারে না। সময়কে সবচেয়ে বেশি বিকৃত করে কৃষ্ণগহ্বর। তৈরি করে প্রাকৃতিক টাইম মেশিন।
মনে করুন, কেউ মহাকাশযানে চেপে কৃষ্ণগহ্বর ভ্রমণে গেলেন। পৃথিবী থেকে দেখা যাচ্ছে, প্রতি ১৬ মিনিটে একবার তিনি প্রদক্ষিণ করছেন কৃষ্ণগহ্বরটিকে। কিন্তু নভোচারী প্রতি ১৬ মিনিটের বদলে অনুভব করছেন মাত্র ৮ মিনিট। ফলে কৃষ্ণগহ্বর থেকে দূরে অবস্থান করা কারও চেয়ে তিনি অনুভব করবেন অর্ধেকটা সময়। যানের নভোচারী সময় ভেদ করে চলতে থাকবেন। ধরুন, তিনি পাঁচ বছর এভাবে ঘুরলেন। ফিরে এসে দেখবেন, পৃথিবীতে পার হয়ে গেছে ১০ বছর। মানে, পাঁচ বছর বেশি।
তার মানে অতিভারী কৃষ্ণগহ্বররা এক একটি টাইম মেশিন। এটি ওয়ার্মহোলের মতো প্যারাডক্সেরও জন্ম দেয় না। তবে ভাবনাটি পুরাপুরি বাস্তবসম্মত নয়। এবং খুব ভয়ংকর। তার ওপর এভাবে খুব বেশি দূর ভবিষ্যতে যাওয়াও যাবে না। তবে খুশির খবর হলো, উপায় আছে আরেকটিও। এর জন্য চলতে হবে অনেক অনেক বেশি বেগে। আমরা জানি, মহাবিশ্বে গতির একটি সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারিত আছে। এটি হলো সেকেন্ডে ১৮৬০০০ মাইল, যার অপর নাম আলোর বেগ। কোনো কিছুর বেগ এর চেয়ে বেশি হতে পারে না। বিশ্বাস করুন আর না-ই করুন, এই বেগের কাছাকাছি বেগে চলতে পারলে আপনি চলে যাবেন ভবিষ্যতে। মনে করুন, পৃথিবীকে বেষ্টন করে গোল করে একটি রেলপথ তৈরি করা আছে। এর ওপর দিয়ে একটি দ্রুতগামী ট্রেন চলতে শুরু করল। বেগ আলোর বেগের খুব কাছাকাছি। ট্রেনটি একের পর এক চক্কর খেতে থাকবে পৃথিবীকে ঘিরে। প্রায় সাতবার প্রতি সেকেন্ডে। এবার ট্রেনের ভেতরে অদ্ভুত কাণ্ড ঘটতে শুরু করবে। বাইরের জগতের তুলনায় সময় প্রবাহিত হবে ধীরে। যেমনটা ঘটেছিল কৃষ্ণগহ্বরের কাছে। তবে ট্রেনের বেগ বাড়িয়ে আলোর বেগের ওপরে নেওয়া কোনোভাবেই সম্ভব নয়। কেউ একজন ট্রেনের ভেতরে দৌড়ানো শুরু করলে মিলিত বেগ কি কোনোভাবেই আলোর বেগের চেয়ে বেশি হওয়া সম্ভব নয়? না। কারণ প্রকৃতির সূত্রমতে, সময় এমনভাবে ধীর হয়ে যাবে যে বেগ আলোর বেগের নিচেই থাকবে।
ধরুন, ২০৫০ সালের ১ জানুয়ারি তারিখে ট্রেনটি ছেড়ে গেল। ১০০ বছর পরে, ২১৫০ সালের একই তারিখে শেষ হলো যাত্রা। কিন্তু ভেতরের যাত্রীদের সময় অতিবাহিত হবে মাত্র এক সপ্তাহ। তাদের সময় এতটাই ধীরে চলেছিল যে এক সপ্তাহেই বাইরের জগতে ১০০ বছর অতিবাহিত হয়ে গিয়েছিল। তার মানে, তারা চলে এসেছেন ভবিষ্যতের পৃথিবীতে। হ্যাঁ, এমন ট্রেন বানানো প্রায় অসম্ভব। তবে ইউরোপীয় গবেষণা সংস্থা সার্নে (ঈঊজঘ) কিন্তু এ ধরনের জিনিস আছে।
এখানে আছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় কণা ত্বরকযন্ত্র। অবস্থান সুইজারল্যান্ডের জেনেভা শহরের মাটির গভীরে। রয়েছে ১৬ মাইল লম্বা একটি বৃত্তাকার সুড়ঙ্গ। ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কণা ছুটে চলে এই সুড়ঙ্গ ধরে। সেকেন্ডের ভগ্নাংশ সময়ের মধ্যে এদের বেগ শূন্য থেকে ঘণ্টায় ৬০ হাজার মাইলে উঠে যায়। আরও শক্তি দিলে এ বেগ এত বাড়ে যে কণিকাগুলো প্রতি সেকেন্ডে সুড়ঙ্গকে ১১ হাজার বার চক্কর খায়, যা আলোর বেগের খুব কাছাকাছি। এভাবে এরা আলোর ৯৯.৯৯ ভাগ পর্যন্ত বেগ অর্জন করতে পারে। এ সময় এরা শুধু স্থান ভেদ করেই চলে না। চলে সময় ভেদ করেও। আমরা সেটা কীভাবে জানলাম? পাই-মেসন নামে একধরনের কণা আছে। এমনিতে এরা এক সেকেন্ডের আড়াই হাজার কোটি সেকেন্ডের এক ভাগ সময়ের মধ্যে ভেঙে যায়। কিন্তু বেগ আলোর কাছাকাছি হলে এরা ভাঙতে সময় নেয় ৩০ গুণ বেশি সময়।
এ তো গেল কণিকাদের সময় ভ্রমণ। আমরা মানুষেরা তা কীভাবে করব? আমার মনে হয়, মহাকাশে যাওয়া ছাড়া উপায় নেই। সবচেয়ে দ্রুতগামী মনুষ্যবাহী যানের নাম অ্যাপোলো ১০। বেগ ছিল ঘণ্টায় ২৫ হাজার মাইল। কিন্তু সময় ভ্রমণের জন্য আরও ২ হাজার গুণেরও বেশি জোরে ছুটতে হবে। আলোর বেগের কাছাকাছি যেতে এর সময় লাগবে ছয় বছর। এক সপ্তাহের ভেতর এটি সৌরজগতের বহিস্থ গ্রহগুলো পার হয়ে যাবে। দুই বছরের মাথায় সৌরজগত্ পার। আরও দুই বছর পরে বেগ হবে আলোর ৯০ ভাগ। পৃথিবী থেকে ৩০ লক্ষ কোটি দূরে। সময় ভ্রমণও শুরু হয়ে যাবে এই সময়। পৃথিবীর দুই ঘণ্টায় যানে এক ঘণ্টা। যেমনটা হয়েছিল কৃষ্ণগহ্বরগামী যানের ক্ষেত্রে। আলোর ৯৯ ভাগ বেগ অর্জন করতে আর ২ বছর দরকার। এ অবস্থায় যানের এক দিনে পৃথিবীতে এক বছর হয়ে যাবে। এবার সত্যিই ভবিষ্যতে চলে যাওয়া গেল।
সময়ের ধীরগতির আরেকটি ভালো দিক আছে। আমরা অনেক বড় বড় পথ পেরোতে পারব জীবদ্দশাতেই। যেমন আমাদের ছায়াপথের অপর প্রান্তে যেতে ৮০ বছর লাগবে। কতই না বিস্ময়কর এই জগত্। যেখানে সময় ভিন্ন স্থানে ভিন্ন বেগে চলে। আমাদের চারপাশে লুকিয়ে থাকে ওয়ার্মহোল নামক সময়-সুড়ঙ্গ। পদার্থবিদ্যার জ্ঞান একদিন হয়তো সত্যিই আমাদের চতুর্থ মাত্রায় ভ্রমণ করাতে সক্ষম হবে।

ভাষান্তর: আব্দুল্যাহ আদিল মাহমুদ

Stephen Hawking Dead at Age 76

Stephen Hawking died at the age of 76 years old, according to his family. 
The globally-recognized theoretical physicist revolutionized science's understanding of black holes and relativity. In more recent years, Hawking had been a proponent of expansive space travel and had been very open with his thoughts on artificial intelligence. 
His children Lucy, Robert and Tim made this statement to the press: 
"We are deeply saddened that our beloved father passed away today.
"He was a great scientist and an extraordinary man whose work and legacy will live on for many years."
Hawking wrote one of the most influential and popular science books, A Brief History of Time, which sold more than 10 million copies. His life was featured in award-winning biopic The Theory of Everything
Hawking suffered motor neurone disease which was discovered just before marrying his first wife Jane. Doctors gave him just two or three years to live in 1964. However, given the slow progression of the disease, Hawking was able to have his three children, and his disease never seemed to impair his mind. Hawking continued to lecture and write commentary on scientific discoveries despite being almost completely paralyzed. 
"He once said, 'It would not be much of a universe if it wasn't home to the people you love.' We will miss him forever," his children said.
Interesting Engineering will continue updating this story as more information becomes available. 

Most Dangerous Airports in the World

Airline travel is one of the safest forms of public transportation but these dangerous airports still scare people.

In terms of traveling long distances, flying on an airplane is the fastest and easiest way to get to your destination. The only problem is that flat stretches of the runway aren't always available in certain places. This means that pilots have to be particularly skilled to land on a runway that juts out from a mountain or one that appears in a narrow valley. Here are 10 of the most dangerous airports in the world to land at.

10. Lukla Airport in Nepal

lukla airport
[Image Source: Wikimedia]
The Lukla Airport in Nepal serves as the main airport for those visiting Mt. Everest. Part of what makes this airport so difficult to land in is how it is nestled in between mountains and the incredibly short length of the runway. In fact, the whole terminal is quite small. There are no lights and little electric power, so landing in anything other than perfect conditions becomes even riskier. There are also no air traffic controllers on site, so pilots are on their own to touch down in sometimes large aircraft. It's also one of the highest airports you can find. 

9. Courchevel International Airport in France

Video of a landing at the Courchevel airport went viral last year as it has the shortest runway of any airport at 525 meters (1722 feet). Not only this but the paved runway has a downward gradient of 18.5% which makes taking off even more difficult. To add on top of the already difficult landing, the runway is built right into the Alps where pilots have to fly through a narrow valley even to prepare for descent. If aircraft do not gain enough speed by the end of the runway, they simply fly off the edge of a cliff, hoping for the best.

8. Toncontin Airport, Tegucigalpa, Honduras

As you may be noticing, airports in mountains become very hard to land at due to the variant terrain and often short approaches. Toncontin Airport is no different. In order for planes to prepare for the descent, they must make a quick 45-degree bank turn to reach the runway in a valley. After this bank, planes must rapidly drop in altitude, being careful not to scrape the terrain directly underneath. High altitude makes flights to this city a real challenge.

7. Princess Juliana International Airport in St. Maarten

princess juliana airport
[Image Source: Wikimedia]
Like some other runways in Careebeen Sea, Princess Juliana Airport which is located in Saint Maarten is perhaps the most famous on the list, most notable for the public beach situated just before the runway. This placement often results in large and loud gusts of wind and sand to those enjoying the crystal blue water. For the pilots, hitting visitors is the least of their worries. The runway is only 2,179 meters long, which is very short considering the large aircraft that land here requires more than 2,500 meters to ensure a safe landing. Princess Juliana was initially built for smaller planes, but the booming tourist industry has brought A340s and 747s into the regular traffic rotation.

6. Paro Airport in Bhutan, Himalayan Mountains

Continuously ranked as one of the most dangerous airports in the world, only 8 pilots are qualified to land on this airstrip. The runway is surrounded by 5,500-meter peaks with a runway only 1981 meters long. Due to the fast descent that large planes need to make to approach the strip, many rank it as the most dangerous airport in the world.

5. Gibraltar International

gibralter airport
[Image Source: Wikimedia]
This is probably the most extreme airport in South Europe. While this runway isn't particularly hard to land at, an interesting design feature makes it incredibly dangerous. The main street in the area, Winston Churchill Avenue, intersects the runway and has to be closed when a plane needs to land. There is a stoplight on the road telling cars to stop, but there have been a number of close calls in the airport's history.

4. McMurdo Air Station, Antarctica

air base antartica[Image Source: Wikimedia]
Not many people travel to Antartica, which means that the airport infrastructure there is significantly lacking. This runway isn't particularly short, but it is made of slick ice which can cause planes to run askew if the landing isn't perfect. Temperatures here are below freezing on average the entire year. In 1970 there as a bad crash of a C-121 that still sits off to the side buried in snow. Many months out of the year it is dark continuously, and due to the lack of lights, pilots are trained to land using night vision goggles.

3. Madeira Airport, Portugal

madiera airport
[Image Source: Wikimedia]
Madeira Airport is one of the few in the world where engineers build a runway platform in order to expand. The landing strip sits between steep cliffs and the shores of the ocean. Pilots simply don't have enough space to land. When an expansion project was planned, designers saw that the only option was to build a series of platforms on an artificial island extending from the current runway. Over 180 columns hold the runway up which have to withstand serious shock loading during landings.

2. MCAS Futenma, Okinawa

This airport is situated in a US Marine Corps Air Station in Okinawa, Japan. The Navy and the Marine Corps rank it as the most dangerous airport in the world where F/A-18 Hornets and V-22 Osprey continuously land. The area is strategically important to the US military, which is part of the reason it maintains operation. Part of the reason this airport is so dangerous is because high-density housing sits in an area that should be cleared for emergency situations. This makes it one of the worst airports in Asia and a problem for most airlines.

1. Narsarsuaq Airport, Greenland

air base greenland
[Image Source: Wikimedia]
Similar to Antartica, the extreme airports in cold Greenland are constantly covered in ice. At only 1,800 meters and canvassed in slick ice, this runway is the most difficult in the world for any pilot. The weather is constantly stormy creating intense turbulence and low visibility on approach making it the worst airport in the world for both flight staff as well as passengers. Shear winds affect planes which, coupled with the icy runway, can direct them off course. The nearby active volcano also commonly erupts sending ash into the clouds which can stall and destroy engines. Time of landing is also one of the things yyou have to consider. 


সোমবার, ৫ মার্চ, ২০১৮

স্পিকার ডক্টর শিরীন শারমিন চৌধুরীর জীবনবৃত্তান্ত

Speaker's Biography


Hon'ble Speaker

Dr. Shirin Sharmin Chaudhury, MP

Name

Dr. Shirin Sharmin Chaudhury
Hon'ble Speaker
Bangladesh Parliament

Member of Parliament

Dr. Shirin Sharmin Chaudhury
24 Rangpur 06
10th Parliament of Bangladesh.
Party: Bangladesh Awami League.

Contact Address

Dr. Shirin Sharmin Chaudhury
Office:
Speaker's Chamber
Level - 5, West Block, Sangsad Bhaban
Bangladesh Parliament
Shere-Bangla-Nagar
Dhaka, Bangladesh.
Tel: +8802-9111999
Fax: +8802-9122254
E-mail: speaker@parliament.gov.bd, sminmowca@gmail.com
Residence:
Present:
Speaker's House
Higher Type Residential Area
Sangsad Bhaban Area
Sher-e-Bangla-Nagar, Dhaka-1207.

Permanent:
Apartment No. 4-E, House No. 52,
Road No. 16 (New), 27 (Old),
Dhanmondi, Dhaka
E-mail: speaker@parliament.gov.bdsminmowca@gmail.com

Professional Qualification

  • 1992: Enrolled as an Advocate, Bangladesh Bar Council
  • 1994: Enrolled in the Hon’ble High Court Division, Bangladesh Supreme Court
  • 2008: Enrolled in the Hon’ble Appellate Division, Bangladesh Supreme Court
  • Member, Dhaka Bar Association
  • Member, Supreme Court Bar Association

Academic Qualification

  • 2000: Doctor of Philosophy in Law (PhD.)
    University of Essex, United Kingdom.
    Thesis on “The Right to Life”.
    Area of Specialization: Constitutional Law and Human Rights
  • Commonwealth Scholar
  • 1990: LL.M.
    University of Dhaka.
    First Class First
  • 1989: LL.B (Honours)
    University of Dhaka.
    First Class First
  • 1985: Higher Secondary Certificate (H. S. C.)
    Dhaka Board.
    Humanities.
    Second Position in Combined Merit List
  • 1983: Secondary School Certificate (S.S.C.)
    Dhaka Board.
    Humanities.
    First Position in Combined Merit List

Professional Experience

  • 15 years Practice as an Advocate in the Supreme Court of Bangladesh
  • Panel Lawyer for Jono Netri Sheikh Hasina

Key Areas of Work

Legal Area
  • Human Rights and Constitutional Law
  • Commercial, Corporate Law, Contract, Banking Law, International Trade, Documentary Credit, Securities Law, Shipping/Admiralty, Construction, Turnkey Project on BOO / BOOT basis, Arbitration, Mediation, Criminal Law
  • Judicial Review by way of Writs
  • Sustainable Development Area

  • Gender Issues
  • Pro-bono Public Interest Litigation
  • Inclusive and sustainable Development

Teaching Experience

  • Resource Person in Bangladesh Bar Council in Bar Vocational Course (BVC)
  • Resource Person in the Law Clinic of Law Department of Dhaka University
  • Delivers lectures as Resource Person at Different Civil and Military Professional Training Institutions/Centres.
  • Resource Person in the Institute of Law and International Affairs (BILIA) Judicial Training Program of the Assistant Judges on the "Independence of the Judiciary"
  • Resource Person in Human Rights at BRAC University, Department of Law
  • Resource Person in Public International Law and Human Rights & Legal Aid for Protection of Human Rights in Dhaka International University (DIU)

Award

  • Dr. Shirin was awarded Asia Society’s Humanitarian service Award on 09 June 2010 in recognition of her role as a leader in advocating the elimination of violence against women and mainstreaming women’s empowerment and employment in Bangladesh. Dr. Chaudhury received this award from Ambassador Melanne Verveer, US Ambassador-at-Large, Global Women Issues in a gala award ceremony at the Ritz Carlton Hotel in Washington DC

Publications

Former Editor
  • Bangladesh Legal Decisions (BLD), Law Report Series published every month by Bangladesh Bar Council. (2003, 2004, 2005, 2006, 2007, 2008 Edition)
  • Articles

  • "Role of the Judiciary in the Development of Human Rights" published in 1999, in the book named Human Rights in Bangladesh, Ain-O-Salish Kendra (ASK)
  • "The Least Dangerous Branch and the Power of Judicial Review: Impact on the Development of Fundamental Human Rights", published in 2000, in the book named Human Rights in Bangladesh, Ain-O-Salish Kendra (ASK)
  • "Right to Life and Its Dimensions",published in 2000, in the book named Human Rights in Bangladesh, Ain-O-Salish Kendra (ASK)
  • "Practice of Democracy: Importance of Free and Fair Election in Bangladesh"presented as Key Note paper in a Seminar organized by Bangladesh Institute for Law and International Affairs (BILIA), Bangladesh Heritage Foundation
  • "Electoral Rights: Bangladesh Perspective"published in "Let People's Voices be Heard", Conference Report on Human Rights and Governance, Local and Global Perspective, January 16-18, 2005, Manusher Jonno and Partners
  • “Regional Position Paper on Status of Women in South Asia” written forSAAPE as Regional Thematic Focal Person from Bangladesh
  • Developed dialogue, concept papers etc. with various relevant NGO's and Human Rights organizations on human rights issues

Personal Information

Date of Birth: October 6, 1966
Nationality: Bangladeshi
Marital Status: Married
Husband: Syed Ishtiaque Hossain
Father's Name: Late Rafiqullah Chaudhury.
Former (CSP). Former Secretary to the Prime Minister Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman (1972)
Mother's Name: Late Professor Naiyar Sultana.
Former Member, Bangladesh Public Service Commission

শুক্রবার, ২ মার্চ, ২০১৮

ট্রাম্পের নিরাপত্তা উপদেষ্টা ঢাকায়

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক নিরাপত্তা উপদেষ্টা লিসা কার্টিস তিনদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে আজ শুক্রবার সকালে ঢাকায় পৌঁছেছেন। ট্রাম্প প্রশাসনের এক বছরের বেশি সময়কালে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ঢাকায় উচ্চপর্যায়ের কোনো ব্যক্তির এটিই প্রথম সফর।তার সফরে দুই দেশের মধ্যে সন্ত্রাস ও নিরাপত্তা সহযোগিতা জোরদার, ট্রাম্প প্রশাসনের পরিকল্পিত ‘ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় কৌশলে’ বাংলাদেশের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিয়ে আলোচনা হবে। এ ছাড়া রোহিঙ্গা সমস্যার বিষয়ে দুই দেশের সহযোগিতার বিষয়টি গুরুত্ব পাবে। সফরকালে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক এবং পররাষ্ট্রসচিব শহীদুল হকের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে জানা গেছে।

‘ওভাবে তাকাবেন না, আমরা বুকের দুধ খাওয়াতে চাই’

ভারতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নতুন বিতর্কের ঝড় তুলেছে ‘গৃহলক্ষ্মী’ নামের এক ম্যাগাজিন। এর প্রচ্ছদে এক মডেলকে খোলামেলাভাবে এক শিশুকে বুকের দুধ পান করাতে দেখা গেছে।কেরালা রাজ্য থেকে প্রকাশিত এ ম্যাগাজিনটির
ভারতের কোনো ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে এভাবে প্রকাশ্যে শিশুকে বুকের দুধ পান করানোর এমন ছবি সম্ভবত এটিই প্রথম।কিন্তু ছবিটিকে ঘিরে বিতর্ক শুরুর অন্যতম কারণ হচ্ছে, মডেল নিজেই এখনো মা হননি। আরসেটিই অনেকে মানতে পারছেন না।তবে গৃহলক্ষ্মী ম্যাগাজিনের সম্পাদক বলছেন, মায়েদের জনসমাগম এলাকাতেও শিশুদের মাতৃদুগ্ধ পান করানোর প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করা এবং এ বিষয়টি নিয়ে তাদের মধ্যে দীর্ঘদিনের যে ‘ট্যাবু’ আছে তা দূর করতেই এ প্রয়াস।
বিবিসি’কে তিনি বলেন, “একমাস আগে এক ব্যক্তি ফেইসবুকে তার স্ত্রীর শিশুকে দুধ পান করানোর ছবি প্রকাশ করেছিলেন। তারা চেয়েছিলেন এমন ছবি দিয়ে জনসমাগম এলাকাতেও মায়েদের স্তন্যপান করানোর বিষয়টি নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করতে। কিন্তু লোকজন বিষয়টি ভালোভাবে নেয়নি। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবাই ওই নারীকে কটূক্তি করেছে।”“সেকারণেই আমরা আমাদের পত্রিকার সর্বসাম্প্রতিক সংখ্যার প্রচ্ছদে এ ধরনের ছবি ছেপে ওই দম্পতির সাহসী পদক্ষেপকে উৎসাহিত করার মাধ্যমে স্তন্যদাত্রী মায়েদের জন্য তা উৎসর্গ করার সিদ্ধান্ত নেই।”তিনি আরো বলেন, “ভারতে যেসব নারী শাড়ি পরে চলাফেরা করেন তারা রাস্তায় শিশুকে দুধ পান করাতে হলে শাড়ির আঁচলে ঢেকে তা করতে পারেন। কিন্তু যারা শাড়ি পরেন না তাদের ক্ষেত্রে এ সুবিধা নেই।”
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ম্যাগাজিনের ছবিটি পোস্ট করে বহু মানুষ বিষয়টিকে সমর্থন জানালেও আরো অনেকেই এর সমালোচনায় মুখর হয়েছেন।ম্যাগাজিনের সম্পাদকের যুক্তিকে অনেকেই আত্মপক্ষ সমর্থনের দুর্বল চেষ্টা আখ্যা দিয়ে এ সবকিছুকেই বিপণনের সঙ্গে জুড়ে দেখছেন।তাদের কথায়, উদ্দেশ্য যদি শুধুমাত্র প্রকাশ্যে শিশুকে মাতৃদুগ্ধ পান করানো নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টিই হয়ে থাকে তাহলে কোনো প্রকৃত মায়ের বদলে কেনো একজন পেশাদার মডেলকে দিয়ে প্রচ্ছদের ছবি তোলা হল, যিনি ব্যক্তিগত জীবনে এখনো মা হননি?
তবে এ প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন মডেল গিলু জোসেফ। বিবিসি’কে তিনি বলেন, “আমি জানতাম এটি প্রকাশের পর নানা বিতর্কের ঝড় উঠবে, তবু আমি একাজ আনন্দের সঙ্গে করেছি সেইসব মায়েদের স্বার্থে যারা প্রকাশ্যে শিশুদের বুকের দুধ খাওয়ানোকে গর্বের এবং ব্যক্তিগত স্বাধীনতার বিষয় বলে মনে করেন।”
মডেল হয়েছেন জনপ্রিয় মালায়ালম অভিনেত্রী গিলু জোসেফ। প্রচ্ছদের ছবির ওপরে লেখা রয়েছে, “মায়েরা

বৃহস্পতিবার, ১ মার্চ, ২০১৮

ছাত্রলীগের সম্মেলন পণ্ড হতে সময় লাগল ২০ মিনিট!!!!

প্রথমে সমস্বরে স্লোগান, তারপর চেয়ার ছোড়াছুড়ি। একপর্যায়ে ককটেল বিস্ফোরণ। এ সময় মঞ্চ ছেড়ে চলে যান ক্ষুব্ধ অতিথিরা। চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন পণ্ড হতে সাকল্যে সময় লাগল ২০ মিনিট। গতকাল মঙ্গলবার নগরের ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে শুরু হয়েছিল এ সম্মেলন।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী মোশাররফ হোসেন। স্লোগানের পর চেয়ার ছোড়াছুড়ি শুরু হলে দুই দফায় মঞ্চ থেকে নেমে নেতা-কর্মীদের কাছে হাতজোড় করে শান্ত হতে অনুরোধ করেন তিনি। কিন্তু মন্ত্রীর অনুরোধ রাখেননি ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। বরং দ্বিতীয় দফায় মন্ত্রীর অনুরোধের সময়ই ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এরপর মন্ত্রীসহ অন্য অতিথিরা চলে যান মঞ্চ ছেড়ে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সম্মেলন শুরু হয় বেলা সাড়ে ১১টায়। শুরুতেই বক্তব্য দেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন। তখনো সম্মেলনস্থলের শেষ দিক থেকে স্লোগান দেন ছাত্রলীগের কিছু কর্মী। জাকির হোসাইন তাঁদের শান্ত হওয়ার অনুরোধ জানান। তিনি আধঘণ্টার মতো বক্তব্য দেন। এরপর বক্তব্য দেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় উপ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রাসেল হোসেন। তখনো স্লোগান চলছিল। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে তৃতীয় বক্তা কেন্দ্রীয় সহসভাপতি সাকিব হোসেনের বক্তব্যের সময় সম্মেলনস্থলের পেছন দিকে শুরু হয় চেয়ার ছোড়াছুড়ি। এরপর ককটেল বিস্ফোরণ। বিস্ফোরণের শব্দে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে সবাই এদিক-ওদিক ছোটাছুটি করতে থাকেন। এ সময় মন্ত্রী মোশাররফ হোসেন মঞ্চ থেকে নেমে নেতা-কর্মীদের শান্ত করার চেষ্টা করেন। মঞ্চে অন্য অতিথিদের মধ্যে ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ, সাংসদ এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী, মাহফুজুর রহমান, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের প্রশাসক এম এ সালাম প্রমুখ।

অনুষ্ঠানস্থল ছেড়ে যাওয়ার সময় মোশাররফ হোসেনের পথ আটকানোর চেষ্টা করেন ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মী। তিনি তাঁদের ধমক দিয়ে সরিয়ে দেন।এ ব্যাপারে উত্তর জেলা ছাত্রলীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আবু তৈয়ব প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ রকম অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা আমাদের কমিটিতে প্রথম ঘটল। আমরা ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও সংগ্রহ করেছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

উত্তর জেলা ছাত্রলীগ সূত্র জানায়, সম্মেলনের প্রস্তুতি শুরু হয় মাসখানেক আগে। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য ৬৮ জনের জীবনবৃত্তান্ত কেন্দ্রে পাঠানো হয়। কেন্দ্র সাতজনকে বাদ দিয়ে ৬১ জনকে এই দুই পদের জন্য চূড়ান্ত করে। এদের মধ্যে সভাপতি পদে ১৫ জন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ছিলেন ৪৬ জন প্রার্থী। গোপন ব্যালটের মাধ্যমে নতুন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন করার কথা ছিল।তোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘যেটা ককটেল বলা হচ্ছে সেটি হয়তো ককটেল ছিল না। আতশবাজির মতো কিছু হবে হয়তো। দু-তিনটি শব্দ শুনেছি আমরা। তবে ঘটনাস্থলে যেহেতু আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতারা ছিলেন, তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতেই আমরা ব্যবস্থা নেব।’

সম্মেলন পণ্ড হওয়ার পর চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের প্রশাসক এম এ সালামের কক্ষে গতকাল বিকেলে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে মন্ত্রী মোশাররফ হোসেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন, উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি বখতেয়ার সাঈদ, সাধারণ সম্পাদক আবু তৈয়বসহ উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক প্রসঙ্গে উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু তৈয়ব বলেন, অপ্রীতিকর পরিস্থিতির জন্য কাউন্সিল হয়নি। নতুন কমিটিতে কাদের আনা যায় সে বিষয়ে আলাপ-আলোচনা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইনের সঙ্গে যোগাযোগ করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুর রহমান সম্মেলনস্থলে ককটেল বিস্ফোরণ হয়নি বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, ‘বাইরে থেকে এসে কেউ হয়তো অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে কথা বলেছি। ঘটনার সঙ্গে ছাত্রলীগের কেউ জড়িত থাকলে শাস্তি হবে।’
উত্তর জেলার সম্মেলনের আগের দিন গত সোমবার বিকেলে নগর ছাত্রলীগের উদ্যোগে লালদীঘি মাঠে আয়োজিত প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর শোকসভায় নেতা-কর্মীরা চেয়ার ছোড়াছুড়ি করেন। এ কারণে তড়িঘড়ি করে সভা শেষ করতে হয়। এ ছাড়া ১৯ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ছয়জন আহত হয়। এর জের ধরে পরদিন প্রক্টর কার্যালয় ও ১৫টি গাড়ি ভাঙচুর করে ছাত্রলীগের একটি পক্ষ।

মন্ত্রীর হাতজোড়েও শান্ত হয়নি ছাত্রলীগ


চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলনে চেয়ার ছোড়াছুড়ি ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী মোশাররফ হোসেন হাতজোড় করে সবাইকে শান্ত হওয়ার অনুরোধ জানান। গতকাল দুপুরে নগরের ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে। ছবি: প্রথম আলোচট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলনে চেয়ার ছোড়াছুড়ি ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী মোশাররফ হোসেন হাতজোড় করে সবাইকে শান্ত হওয়ার অনুরোধ জানান। গতকাল দুপুরে নগরের ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে।  

কী মধু আছে ক্রিকেট বোর্ডে

ছবিটি এআই দিয়ে বানানো শিরোনামে করা প্রশ্নটি গত কয়েক দিনে অনেকেই আমাকে করেছেন। উত্তর তো দিতেই পারিনি, উল্টো সম্পূরক আরও অনেক প্রশ্ন উঁকিঝুঁকি...